ঘরে বসে আয় করার দশটি উপায়

ঘরে বসে আয় করার দশটি উপায়ঘরে বসে আয় করা এখন আর অলীক কল্পনা নয়। দিবা রাত্রির মতো সত্য। কেন না আজকের পৃথিবী ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। প্রায় সব কিছুই এখন অনলাইনে করা হচ্ছে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার সুযোগ হয়েছে অবারিত।

যা করোনাকালীন সময়ে খুবই বাস্তব আকারে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। এখন ওয়ার্ক ফর্ম হোম। ব্যাপারটার সাথে আমরা খুবই পরিচিত। তাই অনায়াসে বলা যায় ঘরে বসে আয় করা এখন খুবই সম্ভব। তবে ঘরে বসে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণার পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

পেজ সূচিপত্র : ঘরে বসে আয় করার দশটি উপায়

• ঘরে বসে আয় করার উপায় সমূহ
• মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
• ব্লগিং করে আয়
• গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আই
• ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
• বসে হন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
• ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়
• সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয়
• কানেক্ট রাইটার আর্টিকেল লিখে আয় করুন
• ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করুন ঘরে বসে

ঘরে বসে আয় করার উপায় সমূহ1

ঘরে বসে আয় করার নানা উপায় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সফলতা অর্জন সম্ভব। এমন না যে আজকে শুরু করলাম আর কাল থেকে টাকা আসা শুরু হবে নানা প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে অনলাইনে। তাই সতর্ক হয়ে সব কিছু জেনে বুঝে অনলাইনে আয় করার পথ বেছে নিতে হবে। আজকে আমরা ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুন: মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়।

বর্তমানে সব কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ধাবিত হচ্ছে। তাই অনলাইনে কাজ করার আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর এই কাজ করে ঘরে বসে কাজ করা সম্ভব। ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় রয়েছে। প্রয়োজন শুধু কাজের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়2

 বসে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে ঘরে বসে কোন ধরনের সার্ভিস প্রদান করা যায় তা জানতে হবে। তার পরে আপনাকে জানতে হবে কোথায় আপনি সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে হয়ে থাকে।

বর্তমানে আপওয়ার্ক ফাইবার ফ্রিল্যান্সারকম পিপল পার্ক আওয়ার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। যে সব মার্কেট প্লেসে আপনি ঘণ্টা হিসাবে অথবা গিগ সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আপনার কাজের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। 

যে কোনও প্রজেক্ট অথবা গিগ এ বর্ণিত সার্ভিস প্রদানের পর বায়ার যদি কাজের অনুমোদন দেয় তবে আপনি আই নিশ্চিত করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর পুরো সার্ভিস আপনি ঘরে বসেই দিতে পারবেন। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট ও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আপনার আয় আনতে পারবেন।

ব্লগিং করে আয়3

ব্লগে লেখালেখি তথা বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যখন অধিক সংখ্যক লোক আপনার ব্লগ সাইট ভিজিট করবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল এর দেওয়া বিজ্ঞাপন এ ক্লিক থেকে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন। আর এটা ঘরে বসেই করা যায়।

আরো পড়ুন: মোবাইলে ডেটা এনট্রি

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আই4

ঘরে বসে আয় করা নিশ্চিত উপায়। এর একটি হল গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়। আপনার ওয়েবসাইট অথবা ব্লগে নির্ধারিত স্থানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা যায় গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। 

ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনি গুগল থেকে টাকা পাবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ের সবচেয়ে। নিরাপদ ও সহজ হল গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় পৃথিবীর যেকোনো স্থানে থাকেন না কেন নিয়মিত আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন।

ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়5

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার ওয়েবসাইটে অন্যের প্রডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করা। যার মাধ্যমে আপনি বিকৃত প্রোডাক্টের দাম নিজ থেকে নির্ধারিত করে কমিশন পাবেন। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যত বেশি প্রডাক্ট বিক্রি হবে তত বেশি আয় হবে আপনার। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অ্যামাজন।

বসে হন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট6

বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের চাকরি খুবই লোভনীয়। আপনি ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের যে কোনও কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনাকে দেওয়া কাজসমূহ ঘরে বসে সম্পাদন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যার দক্ষতা অনুযায়ী আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। যা শুধু মাত্র ঘরে বসেই করলেই হয়।

আরো পড়ুন: ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করুন ঘরে বসে

ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়7

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয় করার সেরা মাধ্যম হল ইউটিউব। আপনি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার পর বিভিন্ন। ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিতে পারেন। আপনার ভিডিও যত বেশি হবে তত আপনার চ্যানেলের ভিউ আর বাড়বে। পাশাপাশি আপনার চ্যানেলের নির্দিষ্ট সংখ্যাক সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন।

 আপনার ভিডিও বেশি সংখ্যক লোক দেখার জন্য মানসম্মত ও সৃজনশীল উপায়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে। তাই আগে থেকে আপনার ভিডিও টপিক নির্ধারণ করে নিতে হবে। সে অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে হবে। আপনার ভিডিওর ভিউয়ার ও বিজ্ঞাপন থেকে আপনি আয় করতে পারেন খুব সহজে। আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয়8

বর্তমানে স্পেশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়ের নানা উপায় রয়েছে। ফেসবুক টুইটার পিন্টারেস্ট ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যবহার করে আয় করা যাচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ ঘরে বসে করা যায়। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নানা ভাবে মার্কেটিং করা যায়।

 আপনার পেজের যদি ফলোয়ার বেশি হয় যে কোনও কোম্পানির পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে টাকায়৷ করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার পেজ বিক্রির মাধ্যমে আয় টাকা আয় করতে পারেন। ঘরে বসেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

 বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হল ফেসবুক। আপনি যদি চান শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।

কানেক্ট রাইটার আর্টিকেল লিখে আয় করুন9

বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরে প্রচুর কনটেন্ট রাইটার এর চাহিদা রয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যাঁরা আয় করতে আগ্রহী তারা ওয়েবসাইট অথবা পণ্য সম্পর্কে নানা কন্টেন্ট বানিয়ে থাকে। তাই ঘরে বসে আপনি কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

 আপনার লেখার মান অনুযায়ী আপনি কনটেন্ট এর দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। তাই স্বল্প সময়ে অধিক আয় করার সুযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে। পাশাপাশি আপনি যদি কোন সাইট বানিয়ে আয় করতে চান তখন আপনাকে আর টাকা দিয়ে কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিতে হবে না। বরং আপনি নিজেই নিজের সাইটের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করুন ঘরে বসে10

আপনি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। প্রথমে আপনি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে অর্ডিনারি আই টি এর ওয়েব ডিজাইন কোর্স করে নিজেই হয়ে যান। ওয়েব ডিজাইন এক্সপার্ট। 

ওয়েবসাইটের ডোমেন নেম হোস্টিং থিম ইত্যাদি আপনি নিজের মতো করে সাজাতে পারেন। তারপর আপনি বিভিন্ন টপিক সিলেক্ট করে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিট আর বাড়তে থাকবে। তার পরের ধাপে আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আবেদন করবেন।

 গুগলের বিজ্ঞাপনের অনুমোদনের পর আপনার ওয়েবসাইটের আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে গুগল। আপনার সাইটের বিজিতদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়।

আয় করার আরেকটি উপায় হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনিও মার্কেটপ্লেসে আয় করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে আয় করার জন্য এ কাজে দক্ষ হতে হবে। তারপর মার্কেটপ্লেসে এ আপনার ডিজাইন দিয়ে গিগ সাজাতে পারবেন। 

অতঃপর আপনার ডিজাইন বিক্রির মাধ্যমে ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু দক্ষতা বৃদ্ধি ও কাজের সঠিক উপস্থাপনা।

মোবাইলে ডেটা এন্ট্রি করে আয়।

আপনি কি মোবাইল ডেটা এন্ট্রির কাজ করেএই করতে চাচ্ছেন মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে কীভাবে আয় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত। বর্তমানে ডেটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করা ফ্রিল্যান্সাররা অধিকাংশ মোবাইল ব্যবহার করে কাজ করে থাকে। মোবাইলে এ ধরনের কাজ করে আয় করা।

 খুবই সহজ। এসময় সাপেক্ষে ঘুড়ি লার্নিং এর আজকের ব্লগে মোবাইল ডাটা এন্ট্রি করে কীভাবে আয় করবেন সে সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

মোবাইলে ডেটা এনট্রি।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি জনপ্রিয় এবং বহুল চাহিদা সম্পন্ন কাজ হল ডাটা এন্ট্রি কাজ। তাই ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়। আগে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ঘরে বসে টাটা গেটের কাজ করা কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। 

অনলাইনে এই ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কম্পিউটার বা ডেস্কটপ ছিল প্রত্যাবাসন। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজ এতটা সহজ হয়ে গেছে যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা সম্ভব। আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে। 

এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে। তাহলে আপনি মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির যে কাজগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং খুব কম সময়ে করা যায় মূলত সেই কাজগুলো এখন মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব। 

ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজ এর প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির মতো কাজ করতে পারার সুযোগ থাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরে বসে আয় করতে সক্ষম হচ্ছে।

আরো পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয়

উপসংহার।

যাঁরা পি টি সি ডেটা এনট্রি অনলাইন টিউটর অনুবাদ ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। সকল মার্কেট প্লেসে এসব কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে যা আপনি ঘরে বসে প্রদান করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করার। স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। 

দরকার শুধু দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সঠিক পথ বেছে নেওয়া। তাই আর দেরি না করে আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করে দেন৷ এখনই ঘরে বসে আয় করা শুরু করেন।